সুনামগঞ্জ , সোমবার, ৩১ মার্চ ২০২৫ , ১৭ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
জামালগঞ্জে বৌলাই নদীতে নৌকা ডুবে নিহত ৪, আহত ১ জামালগঞ্জে দূর্নীতির অভিযোগে সদর ইউপি চেয়ারম্যান কামাল হোসেন বরখাস্ত অর্ধযুগ পর পরিবারের সঙ্গে ঈদ করবেন খালেদা জিয়া “এমন ভূমিকম্প গত ২০ বছরে দেখা যায়নি মিয়ানমারে” ডিসিদের প্রতি ১২ নির্দেশনা প্রধান উপদেষ্টার বিএনপি নেতা কামরুলের উদ্যোগে ইফতার মাহফিলে তৃণমূল নেতাকর্মীদের জোয়ার ‘জয় বাংলা’ স্লোগান কারও দলের নয় : কাদের সিদ্দিকী সয়াবিন তেল লিটারে ১৮ টাকা বাড়াতে চান ব্যবসায়ীরা জুলাই যোদ্ধাদের আর্থিক অনুদানের চেক বিতরণ পণাতীর্থে লাখো মানুষের পুণ্য স্নান শান্তিগঞ্জ-ডুংরিয়া সড়ক নির্মাণকাজের তথ্য নিয়ে লুকোচুরি স্বাধীনতার সুফল জনগণের কাছে পৌঁছে দিতে হবে : জেলা প্রশাসক পূর্ব শত্রুতার জের : বিষ প্রয়োগে রাজহাঁস হত্যা জাফরগঞ্জে জামায়াতের ইফতার ও দোয়া মাহফিল জামালগঞ্জে দরিদ্র্যদের মধ্যে ঈদসামগ্রী বিতরণ জামালগঞ্জে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা গ্রেফতার বাদশাগঞ্জ ক্রিকেট লীগ উদ্বোধন আনসার ও ভিডিপি সদস্যদের মধ্যে ঈদ উপহারসামগ্রী বিতরণ গৌরবময় স্বাধীনতা দিবস আজ আজ থেকে শুরু হচ্ছে পণাতীর্থে গঙ্গাস্নান

চলে গেলেন কবি হেলাল হাফিজ

  • আপলোড সময় : ১৪-১২-২০২৪ ০৯:০৪:২৪ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ১৪-১২-২০২৪ ০৯:১২:৫৫ পূর্বাহ্ন
চলে গেলেন কবি হেলাল হাফিজ
সুনামকণ্ঠ ডেস্ক :: আমাকে দুঃখের শ্লোক কে শোনাবে? কে দেখাবে আমাকে দুঃখের চিহ্ন কী এমন, দুঃখ তো আমার সেই জন্ম থেকে জীবনের, একমাত্র মৌলিক কাহিনি। আমার শৈশব বলে কিছু নেই, আমার কৈশোর বলে কিছু নেই, আছে শুধু বিষাদের গহীন বিস্তার। এমন বিরহ-সংলাপে সাজানো দুর্দান্ত একটা কাব্যময় জীবন কাটানো কবি হেলাল হাফিজ মারা গেছেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৬ বছর। শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) দুপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। চলচ্চিত্র নির্মাতা কবিবন্ধু শবনব ফেরদৌসী বলেন, কবি যে হোস্টেলে থাকতেন, সেখানকার বাথরুমে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়েছিলেন। সেখান থেকে তাঁকে উদ্ধার করা হয় এবং দ্রুত হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। ২০২২ সালে কবি মারাত্মক অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। এরপর বন্ধু ইসমত শিল্পীর বাসায় কিছুকাল কাটিয়ে ফের একাকী জীবনে ফিরে যান তিনি। তাঁর চিরচেনা শাহবাগের সুপার হোম হোস্টেলেই শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত কাটিয়ে গেলেন হেলাল হাফিজ। কবি ডায়াবেটিস, কিডনি আর গ্লুকোমার পাশাপাশি বার্ধক্যজনিত নানা জটিলতায় ভুগছিলেন। হেলাল হাফিজের জন্ম ১৯৪৮ সালের ৭ অক্টোবর নেত্রকোনার আটপাড়া উপজেলার বড়তলী গ্রামে। শৈশব, কৈশোর, তারুণ্য কেটেছে নিজের শহরেই। ১৯৬৭ সালে নেত্রকোণা কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে ভর্তি হন। ১৯৬৯ সালে গণঅভ্যুত্থানের সময় রচিত ‘নিষিদ্ধ সম্পাদকীয়’ কবিতাটি তাঁকে প্রথম পরিচিতি পাইয়ে দেয়। এখনও মানুষের মুখে মুখে ফেরে হেলাল হাফিজের এই লাইনগুলো, ‘এখন যৌবন যার, মিছিলে যাবার তাঁর শ্রেষ্ঠ সময়/ এখন যৌবন যার, যুদ্ধে যাবার তাঁর শ্রেষ্ঠ সময়’। ১৯৮৬ সালে প্রকাশিত প্রথম কবিতাগ্রন্থ ‘যে জ্বলে আগুন জ্বলে’ কবিকে নিয়ে যায় জনপ্রিয়তার শীর্ষে। এরপর বইটির ৩৩টির বেশি সংস্করণ বেরিয়েছে।

নিউজটি আপডেট করেছেন : SunamKantha

কমেন্ট বক্স